নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনায় জনগণের চাহিদা অনুসারে করোনা ভাইরাসের অপর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ, শনাক্তকরণ ও পরবর্তীতে রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় জনগণের ভোগান্তির নিরসনে আরও একটি পিসিআর ল্যাব ও পর্যাপ্ত অক্সিজেনসহ ডেডিকেটেট করোনা হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরীর শহীদ ডা. মিলন চত্বরে জনউদ্যোগ খুলনার মানববন্ধনে সভাপতিত্বে করেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। বক্তব্য দেন কৃষি ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি কৃষকনেতা শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন, খুলনা উন্নয়ন ফোরারমের চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাড. মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নগরীতে করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট নিয়ে জনগণকে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সময়মতো রিপোর্ট পাচ্ছেন না, আবার অনেকে রিপোর্ট জানতেও পারছেন না। এভাবে প্রতিনিতই ঝুঁকির মধ্যে কাটাচ্ছেন নগরবাসী । এ থেকে পরিত্রাণ চান তারা। করোনা হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। হাসপাতালে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় সংকট বাড়ছে। লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য ক্লিনিক নগরীতে চলছে। অধিকাংশ জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রপাতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।
মানববন্ধনে নাগরিক নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনার মধ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না। বরং একে অপরকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর দায় এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের। করোনার সময়ে সেটি বেশি করে ধরা পড়ছে। সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ফলে কিছুদিন আলোচনা হয়। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। স্বাস্থ্যখাতকে জনবান্ধব করতে হলে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম দূর করতে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানান বক্তারা।
সান নিউজ/ এআর