ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটি শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। এখনও সেই ট্রায়ালের ফলাফল না মিললেও এ সংক্রান্ত গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন। সম্প্রতি হাউজ অব কমন্সে ব্রিটিশ এমপিদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
মহামারিতে পরিণত হওয়া করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি। বিশ্বে তৈরি দুই শতাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ১৫টির। এরমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে তারাই সবথেকে এগিয়ে রয়েছে।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের সুরক্ষার মেয়াদ নিয়ে আগেই আশ্বস্ত করেছিলেন ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যনির্বাহী প্রধান প্যাসকাল সরিওট। তিনি বলেছিলেন, এ প্রতিষেধক এক বছর পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ ড. সারা গিলবার্টের দাবি, তাদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক আরও বেশি সময় ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম।
গিলবার্ট হাউস অব কমন্সের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটিকে বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর একজন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে; তাদের ভ্যাকসিন ব্যবহার করলে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন ভিন্নপথে কাজ করে।’ সারাহ জানান, এখনও তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকলেও পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে তারা আশাবাদী যে তাদের ভ্যাকসিন কয়েক বছর পর্যন্ত করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে আট হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে।