সান নিউজ ডেস্ক: মানুষের জীবনে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। একজন মানুষ সুস্থ থাকতে হলে বয়স অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমান ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে । তবে অতিমাত্রায় ঘুম কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম দুটোই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিটা সুস্থ মানুষের দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। আর সেই পরিমান অবশ্যই বয়সের ওপর নির্ভর করে।
আপনার জীবন সমস্যার অনেক সমাধানই পাবেন পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে। কিন্তু ব্যস্ততা যেন অনেকটাই কেড়ে নিয়েছে আমাদের ঘুমকে। যা আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাকে বিপর্যস্ত করছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন অল্প ঘুমের কারণে বিষণ্ণতা জেঁকে বসে যা ধীরে ধীরে একজন মানুষের মনে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে অল্প ঘুম মানুষের কর্মদক্ষতা ও কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, মনোযোগ কমিয়ে দেয়, বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে, উদ্বেগ ও অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। আর এরূপ অবস্থা দিনের পর দিন চলতে থাকলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অল্প ঘুম মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। যা শরীরে নানাবিধ রোগের জন্ম দেয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে নিন।
যা আপনার শরীরে
পর্যাপ্ত ঘুম আপনার সারা দিনের ক্লান্তি দূর করবে।
ঘুমের ফলে চোখের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।
ঘুমের কারণে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় যা সারা দিন আপনাকে কর্মক্ষম রাখবে।
শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে।
অতিরিক্ত চুলপড়া রোধ করবে।
ক্ষুধামন্দা দূর হবে।
দুশ্চিন্তা দূর করে।
বিষণ্ণতা কেটে যায়।
স্মৃতিশক্তিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
ঘুমের অভাবে অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজনে ভারসাম্য রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম বেশ জরুরি।
শরীরে হরমোনজনিত নানা সমস্যার সমাধান হয়।
পরিমিত ঘুম আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোষ নষ্ট হতে সহায়তা করে।
শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কোন বয়সের মানুষের কেমন ঘুম প্রয়োজন-
নবজাতক শিশুদের দিনে ১৬ ঘণ্টার মতো ঘুম প্রয়োজন হয়।
কিশোর বয়সীদের জন্য দিনে ৯ ঘণ্টার মতো ঘুম প্রয়োজন।
প্রাপ্তবয়স্ক লোকের রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
তবে গর্ভবতী মেয়েদের বেশি ঘুমের দরকার আছে।
সাননিউজ/এমআরএস