নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার পাঠানো রিপোর্টে এসব তথ্য মিলেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নগরীর নয়টি ল্যাবে বুধবার ২ হাজার ৫৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ২২৬ ও উপজেলার ৩৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৮, রাউজানে ৬, আনোয়ারায় ৪, লোহাগাড়া, সীতাকু- ও চন্দনাইশে ৩ জন করে, রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং পটিয়ায় একজন রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩ হাজার ৮৯২ জন। এদের মধ্যে শহরের ৭৫ হাজার ৩৫১ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৫৪১ জন। বুধবার করোনায় শহর ও গ্রামে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৫ ও গ্রামের ৬১০ জন।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে বুধবার সবচেয়ে বেশি ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩৯ ও গ্রামের ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১১৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩৬ ও গ্রামের ৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ২ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩৮টি নমুনায় শহরের ২০টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১৯ ও গ্রামের ১১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩১২ নমুনায় শহরের ৩৫ ও গ্রামের ৪টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪৭টি নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ৫টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৩৯টি নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের ৫টি করে, এপিক হেলথ কেয়ারে ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪২ ও গ্রামের ২টি, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪৬ নমুনায় শহরের ৮টি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৩৯ বিদেশগামীর নমুনার মধ্যে শহরের ৬ টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৭টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের একজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব এইডে কোনও নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনও কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক বুধবারের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চমেকহা’য় ৩৩ দশমিক ৩৩, চবি’তে ৭০ দশমিক ৫৮, আরটিআরএলে ৫২ দশমিক ৬৩, শেভরনে ৭ দশমিক ৬৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ দশমিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টারে ৭ দশমিক ১৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৫ দশমিক ৪৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৩৯ ও শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২ দশমিক ৫১ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।
সাননিউজ/এএএ