নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোন আইনের ক্ষমতাবলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তা জানাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্ক থেকে ৭ জুন ঢাকায় আসেন।
এর পরদিনই ৮ জুন করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে সেদেশের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসেন। কিন্তু এদের মধ্যে ডা. ফেরদৌসকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়নি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকলের বিষয়ে সমান বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শুক্রবার (১২ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জননিরাপত্তা বিভাগ) জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা) বিভাগ সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবকে ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরদৌস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কাছে বড় আশা ও ভরসার প্রতীক। করোনাভাইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে অন্দরে ঢুকে গেছেন, সেখানে নিউইয়র্কের মতো মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি।
গত ৭ জুন তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেয়া হয়নি।
দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধু প্লাজমা হিরো হিসেবেই নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন।
সান নিউজ/সালি