নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে দেশজুড়ে চলছে করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
এ লক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে বিশেষ টিকাদান শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন পরিষদ, এক হাজার ৫৪ পৌরসভায় প্রায় ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে টিকাদানের বুথ খোলা হয়েছে। চল্লিশোর্ধ্ব নাগরিক, বৃদ্ধ, শারীরিকভাবে অক্ষম, শিক্ষার্থী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের এ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫ বছরের বেশি বয়সী যারা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদেরও এ কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে।
সারাদেশের সব ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় এ টিকা দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করে খুদে বার্তা পাননি, তারাও এ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। এ কর্মসূচিতে শুধু প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। অধিকাংশ টিকা দেওয়া হবে সিনোফার্মের।
গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধ দানকারী মায়েরা এ টিকা পাবেন না। ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ৬ হাজারের বেশি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিবন্ধন কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেও টিকা দেওয়া হবে।
৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি কেন্দ্রে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি চলছে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উত্তর সিটিতে ৫৪টি কেন্দ্রে এই টিকাদান চলছে।
উত্তর সিটি এলাকায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে পাঠদান চলমান থাকায় সকাল ৯টায় টিকাদান শুরু করা যায়নি। উত্তর সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যালয়ে এসব কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটা থেকে টিকাদান শুরু হবে।
শেরেবাংলা নগরের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত কেন্দ্রে টিকার জন্য মানুষের বেশ ভালো উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে সকাল ৮টার দিকেই টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তবে পাঠদান চলতে থাকায় এখানেও টিকাদান শুরু করা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ শুধু প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
সাননিউজ/এমআর