নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর চিকিৎসায় বহুল আলোচিত রেমডেসিভিরসহ অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের চূড়ান্ত ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটির সর্বশেষ প্রকাশিত করোনা গাইডলাইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে প্লাজমা থেরাপিও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোনও ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন তারা দেয়নি। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রকাশিত করোনা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, তাদের আগের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়নি। পূর্ববর্তী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বলেছে, করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনোটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। বরং এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে মৃদু এবং ৪০ শতাংশের মাঝারি উপসর্গ দিয়ে রোগটির শুরু হয়।
এছাড়া ১৫ শতাংশের গুরুতর আকার ধারণ করে; যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। অন্য ৫ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়; যারা আগে থেকেই ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত।
এদিকে, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এমনকি কোভিড-১৯ এর কোনও ভ্যাকসিন কখনও নাও পাওয়া যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেমডেসিভির ব্যবহার না করার এই পরামর্শ এমন এক সময় এল যখন বাংলাদেশের বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ওষুধটির উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ট্রায়ালে সফলতা আসায় প্ল্যাজমা থেরাপিও বিভিন্ন হাসপাতালে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।