নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে করোনায় মৃত্যুর হার শতকের নিচে নেমে এসেছে। এছাড়া শনাক্তের হারও কমে সুবিধাজনক অবস্থানে।
হাসপাতালগুলোতে যে করোনা রোগীর চাপ কমতে শুরু করেছে তার চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১ হাজার ৫৪ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে।
এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে ৫৫৪টি সাধারণ শয্যা, ২১২টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং ২৮৮টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) শয্যা রয়েছে।
এসব শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তির সংখ্যা ২৫ শতাংশেরও কম। গতকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালটিতে মাত্র ২৬৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
হাসপাতালটিতে সাধারণ শয্যায় কোনো রোগী ভর্তি না থাকলেও আইসিইউতে ১৩৪ জনএবং হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ১৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যদিও মাস খানেক আগে করোনার হাসপাতাগুলোকে শয্যার জন্য হাহাকার করেছে রোগীরা। কিন্তু এখন চিত্র একেবারেই ভিন্ন। শুধু ডিএনসিসি হাসপাতাল নয়, রাজধানীর ১৭টি সরকারি ডেডিকেটেড হাসপাতালের প্রায় প্রত্যেকটিতে কিছুদিন আগের তুলনায় বর্তমানে রোগীর চাপ এখন অনেক কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি ১৭টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ, আইসিইউ ও এইচডিইউর তিন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা ৫ হাজার ৮৯টি। এরমধ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ৪৭টি শয্যা খালি।
এছাড়া বেসরকারি ২৯টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ, আইসিইউ ও এইচডিইউর তিন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা ২ হাজার ৬৪২টি। বর্তমানে ১ হাজার ৯২২টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ১ হাজার ৪০১টি, ৪৯৫টি আইসিইউর মধ্যে ৩৯০টি এবং ২২৫টি এইচডিইউর মধ্যে ১৭০টি শয্যা খালি ছিল। যা সর্বমোট শয্যার ৭৪ শতাংশ শয্যাই রোগীশূন্য।
সান নিউজ/ জেআই