নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে ৮তলা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই চার দিন ধরে বিকল হয়ে আছে। এতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসক নার্সদেরও ভোগাচ্ছে এই দুর্ভোগ। ওই ৮তলা বিশিষ্ট হাসপাতালজুড়েই রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ অতি প্রয়োজনীয় সেবা দানের বিভিন্ন বিভাগ।
এদিকে শনিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক গর্ভবতী নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিড়ি বেয়ে পাঁচতলা গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই বাচ্চা প্রসব করেছেন।
হাসপাতালের লিফট বিকল থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, এ বছরের ৭ জানুয়ারি লিফট ও ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। এই আট মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত চারবার নষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ আগস্ট থেকে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, দুটি লিফট এক সাথে বিকল হওয়ায় রোগী, রোগীর স্বজন ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা উঠানামা করতে পারছেন না।
শনিবার সকালে হাসপাতালে সেখানে দেখা যায়, লিফট বন্ধ থাকায় অতি অসুস্থ মানুষজন সিঁড়ি ব্যবহারে কষ্ট পাচ্ছেন। ভুক্তভোগী ও সাধারণের অভিমত এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দু’টি লিফট দেয়া ঠিক হয়নি। আরও বেশি লিফট দরকার ছিল।
হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির পানিতে চারদিন যাবৎ লিফট নষ্ট। ঠিক করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুর রউফ জানিয়েছেন, লিফট চালু করতে ইতোমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। গণপূর্ত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে বলে তার (গণপূর্ত) এক কর্মকর্তা নির্বার্হী প্রকৌশলীকে অবগত করেছিলেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিকল হওয়ার বিষয়ে কেউ তাকে অবগত করেনি। এখন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেবেন জানান তিনি।
সান নিউজ/এফএআর