নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দক্ষিণখানে ক্লিনিক–ফার্মেসিতে টাকার বিনিময়ে টিকা নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব স্টোররুমে কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। তারপরও কী করে এসব টিকা ক্লিনিক–ফার্মেসিতে গেল সেই প্রশ্নই এখন সবার মুখে।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, অধিদপ্তরের কারও যোগসাজশ ছাড়া কোনোভাবেই টিকা বাইরে যাওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া স্থানীয় কেন্দ্রের কারো সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ঘটনার মূলে কারা থাকতে পারে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশও গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অধিদপ্তরের কারও সম্পৃক্ততাও থাকতে পারে, সেটি বের করা হবে। যদি তাই হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দক্ষিণখান পুলিশ জানিয়েছে মডার্না ভ্যাকসিনসহ একজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ২ / ৩ জনকে আসামি করে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় করোনা ভ্যাকসিন অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণখান চালাবনের হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিক থেকে বুধবার রাতে দুই ভায়াল মডার্না ভ্যাকসিন এবং ২০টি খালি বক্স জব্দ করা হয়।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বলেন, গ্রেফতার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ এসব টিকার ডোজ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করত। ইতিমধ্যে আমরা ওই ক্লিনিকের পাশের এক দোকানদার এবং তার স্ত্রীকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার তথ্য পেয়েছি।
সাননিউজ/ জেআই