নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকা কেন্দ্রে হাতাহাতির ঘটনায় সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় গণটিকার কার্যক্রম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় টিকা প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, দায়িত্বরত আনসার সদস্যেদের সঙ্গে কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে টিকা প্রত্যাশীদের হাতাহাতি হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে টিকা কার্যক্রম। তবে হাতাহাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার পৌনে ১টায় বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৫টা থেকে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়াতে শুরু করে টিকা প্রত্যাশিরা। ৮টা থেকে শুরু হয় টিকা কার্যক্রম। এ সময় লাইনে না দাঁড়িয়েও দায়িত্বরত আনসারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে টিকা নিতে ঢুকেছেন অনেকে। এ নিয়ে সাড়ে ১১টার দিকে আনসারদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় লাইনে দাঁড়ানো টিকা প্রত্যাশিদের। এর জের ধরেই সময়ের আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে টিকা কার্যক্রম।
নোয়াখালী থেকে আসান নূর ইসলাম সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকার জন্য৷ পৌনে ১টায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর টিকা পাননি। তিনি বলেন, আমার সামনেই লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকা নিতে ঢুকেছেন অনেকেই। টাকা দিলেই টিকে নিতে ভিতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আনসাররা। সবখানে অনিয়ম-দুর্নীতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছেন করিমা বেগম। টিকা নেবেন তার দেবর নুরুল ইসলাম। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিতরে ঢুকতে পারলেও শেষ পর্যন্ত টিকা না নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের।
করিমা বেগমের অভিযোগ, পরিচিত থাকলেই তাদের আগে টিকা দেয়া হচ্ছে। আর দুপুর ১টার দিকেই যারা টিকা দিবে সেসব ডাক্তার নার্স সবাই চলে যায়।
দায়িত্বরত আনসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এর সত্যতাও। আনসার সদস্য আবু বকর বলেন, ‘টিকা নিতে এসে এরা আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করেছে। আমাদের আনসার ইনচার্জের গায়ে হাত তুলেছে। তাই টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর তো আমরা এ কার্যক্রম চালাতে পারি না।’
বিদেশ যাবেন নোয়াখালী থেকে আসা মেহেদী হাসান। সকাল সাড়ে ৫টায় লাইনে দাঁড়ানো শুরু করে ৮টায় কেন্দ্রে ঢুকতে পারেন তিনি। তার সিরিয়াল ছিলো ৫৪৯। দুপুর আড়াটার দিকে টিকা না নিয়েই তাকে বের হতে হয়।
তিনি বলেন, আমি বিদেশ যাব। এতোক্ষণ বসিয়ে রেখে বলে টিকা দেয়া হবে না। শনিবারে আসতে হবে। এখন এতোদূর থেকে আবার শনিবার আসা কী সম্ভব?
সাননিউজ/এমএইচ