মানসিক স্বাস্থ্য বর্তমানে একটি ভয়াবহ ব্যধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। হয়তো আমরা অনেকেই বুঝতে পারছি না যে আমরা মানসিক ভাবে অসুস্থ। আর শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থের প্রতিও আমাদের সমান গুরুত্ব দেয়ার সময় এসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়,জাতীয় মানসিক স্বাস্থনীতির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জীবনের সব পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয ।
সভায় পৃথক মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালকের দফতর স্থাপনের প্রস্তাবনা আসে। একই সঙ্গে এমবিবিএস কারিকুলামে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে সংযোজন করার প্রস্তাবনা আসে-জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় সভায়।
সভায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করে এ সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও মানসিক রোগের ঝুঁকি নিরসনে তথ্য ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গবেষণার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘এক ভিশন, এক মিশন, ১৫টি অবজেকটিভ, ১৬টি অ্যাকশন এরিয়া এবং চারটি ‘স্ট্র্যাটেজিক এরিয়া’ নিয়ে এ কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অগ্রাধিকারভুক্ত ছয়টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় অনেক কিছুর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, যেগুলোর ব্যাপারে এক সময় মনোযোগ দেওয়া হতো না। কিন্তু আমরা সেগুলো দেখছি এবং ভাবছি। তার মধ্যে অন্যতম মেন্টাল হেলথ। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো সঠিকভাবে বিবেচনায় নিলে আত্মহত্যার ঘটনা অনেক কমে যাবে।