নিজস্ব প্রতিবেক: বাংলাদেশে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় একদিনে রেকর্ড ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২ জন। ৫৩ হাজার ৭৯৮ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ।
শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে টিকা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৭ হাজার ৭৯ জন নিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২১৯ পুরুষ, ১০ হাজার ৮৬০ নারী। ৪ হাজার ৬৭৪ জন নিয়েছেন ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৩৫ পুরুষ, ৫৩৯ নারী। চীনের সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৭ জন। নারী ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৪ জন। সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২২ হাজার ৪৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ নেন ১২ হাজার ৮৮৩ জন, নারী ৯ হাজার ১৬২ জন। মর্ডানা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭২১ জন। পুরুষ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ১৯ জন, নারী পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৭০২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ কেউ পায়নি।
এর আগে সকালে সারাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সংশোধিত কর্মসূচি অনুযায়ী এবার এক কোটি নয়, ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের কথা জানান। তিনি বলেন, দেশব্যাপী সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে দুই দফা কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে এসে পরিবর্তন করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে মূলত ২৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের আওতায় ৭ অগাস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোন ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে। তবে ৭ থেকে ৯ অগাস্ট এই তিনদিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ অগাস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। আর ১০ থেকে ১২ অগাস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
সাননিউজ/এমআর