নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিযোগ উঠেছিল, এক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মানুষের শরীরে করোনার টিকার সুচ প্রবেশ করিয়ে ওষুধ পুশ করছিলেন না। তিনি শুধু টিকার সুচ শরীরে প্রবেশ করাচ্ছিলেন আর বের করে আনছিলেনন এবং সঙ্গে সঙ্গে ওষুধসহ সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন। এই ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সোমবার (২ আগস্ট) জেলা সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাজেদা আফরিন দোষ স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন।
সাজেদা আফরিন বলেন, ওইদিন বহু মানুষের টিকা নেওয়ার তারিখ ছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। চাপের মধ্যে বহু মানুষকে টিকা দিয়েছি। হঠাৎ করে কয়েকজনের ক্ষেত্রে মিসিং হয়েছে। এই সংখ্যা খুবই কম। মানছি এমনটা হওয়া ঠিক হয়নি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই শতভাগ মনোযোগ দিয়ে কাজটি করা উচিত ছিল। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ঘটনাটি ঘটেছে।
এর আগে, ১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নং বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এ সময় তিনি টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে টিকার ওষুধ পুশ না করেই সেই সিরিঞ্জ বের করে ফেলে দেন।
এ সময় বিষয়টি এক যুবকের নজরে আসে। ঘটনাটি আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামীমকে জানানো হলে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর টিকার ওষুধের উপস্থিতি দেখতে পান। পরে তিনি নিশ্চিত হন সুচ পুশ করা হলেও শরীরে টিকার ওষুধ প্রবেশ করানো হয়নি।
এ ঘটনায় ডিপুটি সিভিল সার্জন শামীম হোসাইন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
সাননিউজ/এমআর