নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, করোনা র্যাপিড টেস্টিং কিটের সরকারি অনুমোদন এখনও পাননি তারা।
সোমবার (১১ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনা চিকিৎসা বিচ্ছিন্নভাবে না করে আরো পরিকল্পিতভাবে করা দরকার। তাই পরীক্ষা করার জন্য সরকারকে দ্রুত অনুমতি দিতে হবে।
তিনি জানান, প্রতিদিন ১০ লাখ করোনা কিট তৈরি করতে প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ করছে গণস্বাস্থ্য। কিন্তু আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছাড়া সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গণস্বাস্থ্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে যাদের নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া যেত, নানা রোগে আক্রান্তদের ফিরিয়ে না দিয়ে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সহজ করা সম্ভব হতো।
কার্যকারিতা পরীক্ষা বিএসএমএমইউ কিট নিচ্ছে না অভিযোগ করে সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে দেশেবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ক্ষমা চাইছি, আমাদের অপারগতার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের অপারগতা, বিএসএমএমইউ কাছে কিট পৌঁছাতে পারি নাই। আমাদের কিট আছে। কিন্তু তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য যে পত্র, সেটা আমাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এটা জাতীয় গুরুত্ব, সেটা আমরা বুঝাতে সক্ষম হইনি। দ্রুত করাটা দরকার। এসময়ে আমরা জাতির জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারতাম। হয়তো সবকিছুর পরিবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু মানসিকভাবে মানুষকে একটা স্বস্তি দিতে পারতাম।
তিনি বলেন, জাতির এ ক্লান্তিলগ্নে আমরা সরকারের কাছে একটা আবেদন করতে চাইছি। যতোদিন পর্যন্ত তুলনা মূলক রিপোর্টটা না আসে ততোদিন আমাদেরকে সাময়িক সনদপত্র দেন। যাতে আমরা কিছু লোকের করোনা হয়েছি কি হয়নি এই পরীক্ষা টুকু করে দিতে পারি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কমিটি করেছিলো তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাদের প্রতিটি ধাপে ধাপে অনুমতি নিতে হচ্ছে। আর চিঠি ভাইস চ্যালেন্সরের দপ্তরে আছে। উনার চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে এ কমিটি আমাদের জানাবেন আমরা তাদের দেবো।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে কিট আছে। আর আমরা দাবি করছি এটা কার্যকর। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত সরকারের অনুমোদনের দ্বার পর্যন্ত পৌছাতে পারিনি। প্রতিদিন সাংবাদিক আমাদের ফোন করেন- আমরা বলি কালকে, কালকে।
তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য প্রতিদিন দুই’শত থেকে তিন’ শত লোকের কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস করে থাকে। তাদের বেশিরভাগই করোনা পজেটিভ। এজন্য তাদের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয় না। তাই জনসাধারণে কাছে আবেদন করছি আমাদের হাসপাতালের আশেপাশে কেউ ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা দিলে আমরা সেখানে দ্রুত মেশিন বসিয়ে করোনা আক্রান্ত এক’শত জনের ডায়ালাইসিস প্রতিদিন করে দিতে পারি।
সান নিউজ/ আরএইচ