সান নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ দিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিশুদের বাইরের আবহাওয়া গায়ে লাগানোর বিষয়টা অনেক কমেছে। বন্ধ রয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করা। এর মধ্যে এসেছে ঈদের আনন্দ। অনেক অভিভাবক শিশুদের একটু ঈদ আনন্দ দিতে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু ঈদের এক দিন পর থেকে আবার শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।
ইউনিসেফ থেকে শিশুদের মানসিক চাপ নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ রকম সময় শিশুদের ক্ষেত্রে উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং অনিশ্চয়তার অনুভূতি নিয়ে আসে। এ সময় তাদের আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসা এবং সহযোগিতার প্রয়োজন।
এ প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ মনোবিজ্ঞানী ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট ডা. লিসা ডামুর কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ আছে বাবা-মায়েরা কীভাবে তাদের সন্তানদের সহায়তা করতে পারেন।
পরামর্শগুলো হলো-
১. নিজে সুস্থ থাকতে শিশুরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে অভিভাবকদের অত্যন্ত শান্তভাবে কথাবার্তা বলা উচিত।
২. শিশুরা যে ভীত ও উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারে প্রাপ্তবয়স্করা সে বিষয়টিকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে তাদের কাছে তুলে ধরে সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এ বিষয়ে আপনার সন্তানকে আশ্বস্ত করুন।
৩. আমরা তাদের মনে করিয়ে দিতে পারি নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতির ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখ স্পর্শ না করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো অনেক কিছুই করতে পারি।
৪. শিশু-কিশোরদের জন্য একটা সময়সূচি বা রুটিন দরকার। সন্তানের জন্য দিনের একটি সময়সূচি আছে কি না তা বাবা-মা নিশ্চিত করবেন। আর এ সময়সূচিতে সময়টা কীভাবে ব্যয় করা হবে তার পরিকল্পনা থাকবে। এসব বিষয়ে সন্তানদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. স্কুল বন্ধ হওয়ায় বাতিল হওয়া স্কুলের নাটক, কনসার্ট, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাতিল হওয়ায় শিশুরা বেশ হতাশ। এ ক্ষেত্রে শিশুদের দুঃখ পেতে দেয়া উচিত নয়।
৬. কোন বিষয়ে আপনার সন্তান কী শুনেছে বা কোনটাকে তারা ইতোমধ্যে সত্য বলে মনে করেছে সেটাও লক্ষ করুন। বাইরে যেতে পারছে না বলে তার অনেকটা সময় কাটছে অনলাইনে। সেখানে কোন সাইটে সে সময় কাটাচ্ছে এটা দেখার দায়িত্বও আপনার।
মনে রাখতে হবে, শিশুরা তাদের নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত ধারণা পাওয়ার জন্য তাদের মা-বাবাদের ওপর নির্ভর করে। তাই এই করোনাকালে শিশুদের মানসিক বিকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে বাবা-মাকেই সচেষ্ট থাকতে হবে।
সান নিউজ/এনএম