নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সুনির্দিষ্ট প্রতিষেধক না থাকায় কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, সামাজিক দূরত্বই গুরুত্ব পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে ভ্যাকসিন। এমন পরিস্থিতিতে এ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, এতে করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একধাপ এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
ঔষধ প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গেই কাজ করবে বাংলাদেশ। বিশ্ব মহামারির এই সময়ে এমন গবেষণার অংশ হওয়া বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় একধাপ এগিয়ে রাখবে এমনটাই মনে করেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাকের উল্লাহ বলেন, যারা এ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যাচ্ছে তাদের অবশ্যই ফান্ডের দরকার। আমি জানি এই ফান্ড ইন্টারন্যাশনার সংগঠনগুলো দেবে। যদি কোনো জনগোষ্ঠী এ ট্রায়াল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে প্রস্তুতি যেন থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গবেষণায় যুক্ত হওয়া এ টিম নির্বাচনে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে বাংলাদেশকে। কাজ করতে হবে ভবিষ্যতে করোনা মোকাবিলায় ঘনবসতির বাংলাদেশকে ভেবেচিন্তে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আইইডিসিআর এর পাশাপাশি অন্যান্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের কাজে লাগালে পরিধি বাড়বে। পরবর্তীতে সরকার টিকাদান করতে চাইলে তখন কাজে লাগবে।’ প্রাথমিকভাবে এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বাংলাদেশের হয়ে আইসিডিডিআরবির যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন।
সান নিউজ/ আরএইচ