সান নিউজ ডেস্ক : নিরামিষ হোক কিংবা আমিষ, তেজপাতা ব্যবহার হয় প্রায় সব ধরনের রান্নাতেই। এটি খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে কাজ করে। মাংস, পায়েস, আচার, সবজি- এসবকিছুতে তেজপাতার ব্যবহার থাকেই। এর এক ধরনের নিজস্ব গন্ধ আছে, যা রান্নায় যোগ হয়ে বাড়তি সুগন্ধ এনে দেয়।
তেজপাতা পুড়িয়ে গন্ধ নিলে তা শরীরের উপকার করে থাকে। যে কারণে কোনো রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই পাতা। ডায়াবেটিস এখন পুরো বিশ্বেই এক আতঙ্কের নাম। কারণ প্রতিদিনই বাড়ছে এতে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে তেজপাতা। জেনে নিন এর কিছু কার্যকারিতা সম্পর্কে-
কীটপতঙ্গ দূর করে
বাড়িতে কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেড়ে গেলে কাজে লাগাতে পারেন তেজপাতা। তেজপাতা পোড়ানোর পরে যে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় তা পোকামাকড় দূর করে। বাড়ি থেকে মশা-মাছি তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি। এতে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
আমাদের প্রত্যেকের শরীরেই কোনো না কোনো রোগ থাকে। কেউই শতভাগ নিরোগ নই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। আপনি যদি প্রতিদিন একটি তেজপাতা পুড়িয়ে তার গন্ধ নেন তবে শরীর অনেকটাই সুস্থ থাকবে। সেইসঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ক্লান্তি দূর করে
দিনশেষে সবার শরীরেই ক্লান্তি ভর করে। কোনো কাজে আর মন সায় দেয় না যেন। তখন শরীর চায় অলসতা, বিশ্রাম। এই ক্লান্তিবোধ কাটাতে সাহায্য করতে পারে তেজপাতা। এছাড়াও এটি স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, সেইসঙ্গে শক্তিশালী করে স্মৃতিশক্তিও। ক্লান্তি দূর করে আপনাকে সতেজ হতে সাহায্য করবে তেজপাতা।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
আপনি যদি ডায়াবেটিসের লক্ষণ বুঝতে পারেন তবে ঘরোয়া উপায়ে এর প্রতিকার সম্ভব। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি যে, তেজপাতা পোড়ানো ধোঁয়া নাকে গেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্র বাড়ে। এর ফলে কমে ডায়াবেটিসের মাত্রা। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য রোগও দূরে রাখে এই তেজপাতা পোড়ানো ধোঁয়া।
শ্বাসনালী পরিষ্কার করে
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে তেজপাতা। আপনি যদি তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ নেন তবে তা শ্বাসনালী পরিষ্কার করবে এবং কার্ডিওভ্যাস্কুলার প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
সান নিউজ/ এসএ