নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও চীনের কোম্পানি টিকার যৌথ উৎপাদনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান। চীনা কোম্পানি আর অ্যান্ড ডি ভবিষ্যতে টিকার যৌথ উৎপাদনে বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এক বার্তায় জানান, চীন এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি দেশে ভ্যাকসিন (টিকা) সরবরাহ করেছে। কোভাক্সের ১০ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরবরাহ করবে চীন। টিকা উৎপাদনে চীন উন্নয়নশীল বহু দেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উৎপাদন পরিচালনা করে আসছে। চীনা টিকা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সুনাম অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আইকে অনুরোধ করেছিলেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে নিজ দেশের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে চীন।
এদিকে বাংলাদেশকে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে চীন। প্রথম দফায় গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় চীন। দ্বিতীয় দফায় ছয় লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় চীন। এছাড়া চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ ডোজ টিকাও এসেছে।
সান নিউজ/এমএম