সাননিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জনে। মৃত ৮২ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও ২৭ জন নারী।
রোবাবার (২০ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬ টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৫৬টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার ২৬২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ হাজার ২৩১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৯০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে একজন ও মময়মনসিংহ বিভাগে চারজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৭১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে আটজন ও বাড়িতে তিনজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১ হাজার ৩৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৪৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৮৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩১ হাজার ২২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
সাননিউজ/এএসএম