নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা রোগীদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসকরা। তাদের নিরাপত্তা সামগ্রী নিয়ে প্রথম দিকে নানা সমালোচনা হয়। তবে সরকারের দাবি তাদের জন্য পিপিই'সহ সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এবং প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সুরক্ষা সামগ্রী রয়েছে সরকারের কাছে।
তারপরও চিকিৎসা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুইশ'র বেশি ডাক্তার ও নার্স।
চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ডা. নিরুপম দাশ বলেন, বিশ্বে চিকিৎসকদের করোনায় আক্রান্তের হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে চিকিৎসক ১৩ শতাংশ। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এ হার ১৫ শতাংশের বেশি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে এ হার ১১ শতাংশ এবং ইতালিতে ৮.৭ শতাংশ।
বিডিএফের তথ্যানুযায়ী, আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ১৬৮ জন। পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসক নার্সসহ সর্বোচ্চ ৪২ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রয়েছেন ১১৭ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন ৩৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন ৮ জন করে।
বাকিদের মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ৩ জন করে চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিডিএফ।
এদিকে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এখন পর্যন্ত সারাদেশে চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১ জন, নার্স ৬৬ জন এবং স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২ জন।
তিনি বলেন, 'চিকিৎসকরা যে হারে আক্রান্ত হচ্ছেন, এ পরিস্থিতি খুবই দুশ্চিন্তার। এভাবে যদি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকেন, তাহলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পরবে।'