নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত একদিনে শিশুসহ মারা গেছেন আরও ৬৫ জন। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে কয়েকদিন কমতির দিকে থাকার পর গত একদিনে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৯ জন।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৩৯ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.৯৫ শতাংশ। গতকাল ছিল ৯.৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন ও শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন মারা গেছেন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও এরমধ্যে সীমিত পরিসরে জেলাভিত্তিক গণপরিবহন চালু হবে ৬ মে থেকে। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
সান নিউজ/আরআই