নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৮০৭টি সাধারণ এবং ৫৭৮টি আইসিইউসহ মোট শয্যা রয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫টি।
রোববার ( ২৮ মার্চ ) দুপুর পর্যন্ত সাধারণ শয্যায় ৩ হাজার ৫৪৫ জন এবং আইসিইউ শয্যায় ৩৫৮ জনসহ মোট ৩ হাজার ৯০৩ রোগী ভর্তি আছে। হিসাব বলছে, দেশের করোনা হাসপাতালের ৩৭.৬০ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে। তবে এটি সারাদেশের চিত্র হলেও ঢাকার চিত্র ভিন্ন।
ঢাকায় সরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যার বিপরীতে ৮২.৪৩ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যার বিপরীতে ৯৮ শতাংশ রোগী ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার ঢাকায় আরও কয়েকটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুতের কাজও শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম রোগী শনাক্তের পর ধীরে ধীরে সারাদেশে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। সেই সময় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। পরে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে সরকার চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র বাড়াতে থাকে।
একপর্যায়ে গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সংক্রমণ কমতে থাকলে হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বসুন্ধরা হাসপাতালসহ ১২ হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর বন্ধ হয় ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, বসুন্ধরা হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার।
কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২২ মার্চ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের দফতরে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়- দেশে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হলো।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে প্রতিষ্ঠানটিতে করোনা রোগীর সেবা কার্যক্রম চালু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আরও ৩ হাজার ৯০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রোগী শনাক্তের হার ১৭.৬৫ শতাংশ। একই সময়ে মারা গেছে আরও ৩৫ জন। মৃতদের মধ্যে ২১ পুরুষ ও ১৪ নারী।
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯০৪ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১২.৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ১৯ জন।
সান নিউজ/এসএ