নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বর্তমানে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ জনের মতো। আর টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমছে প্রতিদিনই। আগে একদিনে যেখানে ২ থেকে আড়াই লাখ মানুষ টিকা নিতেন, এখন সেটা নেমে এসেছে লাখের নিচে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার ১৬ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ৯৪ হাজার ৪৩৭ জন টিকা নিয়েছেন। তার আগের দিন নিয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৬০ জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, গেল বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। এর পর সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে জুন-জুলাই মাসে পিকে (সর্বোচ্চ চূড়ায়) পৌঁছে।
একই সময়ে দিনে ৪ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেন ৫০ থেকে ৬০ জন। কিছুদিন একই অবস্থায় থেকে আগস্টের শেষদিকে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এর পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শনাক্তের হার নেমে আসে ১০ শতাংশে। শীত আসার আগ থেকে অর্থাৎ নভেম্বরে আবারও বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ, শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ পৌঁছে।
কিছুদিন একই অবস্থানে থেকে ডিসেম্বরের শেষদিকে আবার কমতে শুরু করে সংক্রমণ। একপর্যায়ে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সেই হার ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে চলে আসে। কিন্তু চলতি মার্চের শুরু থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণও। বর্তমানে শনাক্তের হার ৮ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে।
এমন পরিস্থিতিতে টিকা গ্রাহীতার সংখ্যা বাড়ার কথা থাকলেও সেই সংখ্যা উল্টো পথে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন হয় গত ২৭ জানুয়ারি। এর কয়েকদিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
প্রথম ২ সপ্তাহ ২ লাখ বা তারও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কমতে শুরু করে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার ১৬ মার্চ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন মোট ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৩৯১ জন। আর এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৪৪২ জন। আর মঙ্গলবার ৯৪ হাজার ৪৩৭ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জনের শরীরের মৃদু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সান নিউজ/এসএ