ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই ভাইরাসে নারীদের আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারী। তাই এই পরিস্থিতিতে নতুন করে গর্ভধারণের বিষয়ে নিষেধ করছেন চিকিৎসক রমণী দেবী।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য করোনা কতটা ভয়ানক তা ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের ফেডারেশন অফ অবসটেট্রিক গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (ফগসি)'এর ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা: টি রমণী দেবী।
তবে এই মুহূর্তে যারা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের বেশি কিছু সচেতনতা অবলম্বন করার কথা বলছেন এই চিকিৎসক। বিশ্বে ১৫০ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন যুক্তরাজ্য এবং চীনের।
চিকিৎসক বলছেন, বিশ্বের এই পরিস্থিতিতে একজন গর্ভবতী নারীর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত। অযথা বাড়তি চিন্তা না করে কিছুদিন পর পর চিকিৎসকের কাছে সাথে সাক্ষাত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাড়িতে নিরাপদে থাকার উপর বারবার জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার হাত ধোওয়া, মুখ, নাক, চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমাজে প্রচলিত বেবি শাওয়ারের মত অনুষ্ঠান বাদ দেওয়ার প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
তবে যারা প্রেগন্যান্সির শেষ মাসে রয়েছেন তাদের জন্য সময়টা বেশি কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক রমণী দেবী। এক্ষেত্রে যদি সম্প্রতি গর্ভবতী নারী কোথাও ভ্রমণ করে থাকেন, বিদেশ ফেরত কারো সাথে যোগাযোগ করে থাকেন সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালের সাথে একবার আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এরপরেও যদি কোন অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনায় আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস করোনার কারণে গর্ভপাতও ঘটতে পারে।
এদিকে মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটুকু এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। তবে যেসব মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের যদি করোনা পজিটিভ আসে সেক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে বলছেন চিকিৎসক।