নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার টিকার প্রথম ডোজের ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া কথা থাকলেও সেই সময় বাড়িয়ে আট সপ্তাহ করা হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। সে সময় দুই দিনে সাড়ে পাঁচশর বেশি মানুষকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা শুরুতে জানিয়েছিল, এ টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে চার সপ্তাহ। কিন্তু পরে বলা হয়, এই ব্যবধান বাড়লে টিকার কার্যকারিতাও বাড়ে। তখন সে অনুযায়ী বাংলাদেশের টিকাদান পরিকল্পনা সাজানো হয়। বলা হয়, প্রথম চালানে পাওয়া সব টিকা দিয়ে দেয়া হবে। পরের চালানের টিকা পেলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার চার সপ্তাহের পরিবর্তে আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
এছাড়া দেশব্যাপী বিতরণকৃত সকল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সংরক্ষণ না করে প্রথম ডোজ হিসেবে দিতে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন ও প্রথম ডোজের টিকা দেয়ার পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সান নিউজ/আরআই