নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে প্রথম টিকা নেবেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। তারপরই টিকা নেবেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন ও সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরামউল্লাহ।
রোববার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেও মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। দুপুর ১২টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন সদর সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, সদর উপজেলায় টিকা নিতে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ১১’শ জন। উদ্বোধনের পর তাদের মধ্যে যারা আসবেন তারা টিকা নিতে পারবেন। এদিকে শনিবার দুপুরে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে করোনা ভাইরাসের টিকা ও সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছে। জেলা শহরের মেড্ডাস্থ জেলা ই.পি.আই ভবন থেকে টিকাগুলো বিতরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে কোল্ড বাক্সে করে টিকাগুলো তুলে দেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলার জন্য ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাঠানো হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার জন্য করোনা টিকার ১ হাজার ভায়াল, নবীনগরে ৯৪০ ভায়াল, কসবায় ৬০০ ভায়াল, বাঞ্ছারামপুরে ৫৭০ ভায়াল, নাসিরনগরে ৫৯০ ভায়াল, আশুগঞ্জে ৩৪০ ভায়াল, বিজয়নগরে ৪৯০ ভায়াল, আখাউড়ায় ২৮০ ভায়াল এবং সরাইলে ৬০০ ভায়াল দেয়া হয়েছে।
প্রতিটি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা রয়েছে। এছাড়া টিকাদানের জন্য ১ লাখ ৫৬ হাজার সিরিঞ্জও দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, টিকাগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো কোল্ড স্টোর রুমে রাখা হবে। রোববার থেকে সব উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ধাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে সকল জনগোষ্ঠি টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১০ হাজার ৮০০ ভায়ালে করে ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ করোনার টিকা আসে। টিকাগুলো জেলা ই.পি.আই ভবনের কোল্ড স্টোর রুমে সংরক্ষণ করা হয়।
সান নিউজ/ আকন্ঞ্জি/এসএ