নিজস্ব প্রতিকেদক : করোনা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন না করলেও যারা কেন্দ্রে আসবেন তাদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘নিবন্ধন না করলেও কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারেন এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। আগে নিবন্ধন না করা টিকা গ্রহীতার সব তথ্য রেখে দেওয়া হবে, স্বাস্থ্যকর্মীরা পরে তা ডেটাবেইজে তুলে দেবেন।’
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে একযোগে সকাল থেকে শুরু হচ্ছে করোনা ভাইরাসের গণটিকা দান কর্মসূচী। সেই জন্য জেলা-উপজেলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। রোববার যারা টিকা পাবেন তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে নোটিশ যাবে শনিবার। এরই মধ্যে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে । প্রথম দিন ১ হাজার ১৫টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদানে কাজে ২ হাজার ৪০২টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল নিয়োজিত থাকবে।
পরীক্ষামূলক কয়েকশ জনকে প্রয়োগের ১০ দিন পর রোববার সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে একযোগে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে। এরই মধ্য দেশের ৬৪ জেলায় পৌঁছে গেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা।
তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘এখন যেকোনও ডিভাইস থেকে আমাদের সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে গেলেই যে কেউ তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড নম্বর ব্যবহার করে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিক তথ্য ঠিক থাকলে নিবন্ধন করতে পারছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময়টুকু বাদ দিয়ে প্রতি আধাঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজারজন নিবন্ধন করেছেন।
সারা দেশে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। কোনও জেলা বা উপজেলা নিবন্ধনশূন্য থাকবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে যারা কারিগরি দিকটি বিশ্লেষণ করছেন, তারা ঠিক করে দেবেন প্রথম দিন কোন জেলায় কোন সেন্টারে কতজন টিকা দিতে যাবেন। এর ফলে নিবন্ধন নিয়ে আর কোনও জটিলতা হওয়ার কথা নয়।
এদিকে স্থানীয় মানুষের মধ্যে টিকাদানের উৎসাহ বাড়াতে জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন নিজ নিজ এলাকায়। সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই যার যার নির্বাচনী এলাকায় আগামীকাল টিকা নেবেন বলেও প্রস্তুতি রয়েছে। অনেক এলাকায় মন্ত্রীরাও থাকবেন বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/এসএ