নিজস্ব প্রতিবেদক : আট সপ্তাহের পরিবর্তে চার সপ্তাহ পরেই করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকাপ্রত্যাশীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাই দ্রুতই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতায়ও কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি তাদের। এদিকে গণহারে প্রয়োগের প্রথম দিনে রাজধানীর ৪৩টি কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন ঢাকার সিভিল সার্জন।
আর মাত্র একদিন বাদেই শুরু হবে গণহারে করোনার টিকা প্রয়োগ। এরই মধ্য দেশের ৬৪ জেলাতেই পৌঁছে গেছে সেরাম থেকে আনা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনার টিকা।
রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে হয়েছে প্রয়োগ। এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি। বড় পরিসরে দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাাপাতালগুলোতে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ। ৪৩টি কেন্দ্রে বড় হাসপাতালগুলো বাদ দিয়ে অধিকাংশেই আপাতত রাখা হবে একটি করে বুথ।
ঢাকার সিভিল সার্জন আবুল হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ভ্যাকসিন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। আশা করি, ৭ তারিখে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শেষ করতে পারব।
এদিকে অ্যাপ চালু না হলেও ওয়েবসাইটের মধ্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। তাই আগের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে প্রথম চার সপ্তাহ পরেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সে ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা একই থাকবে বলেও মত তাদের।
আইইসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, যদি আমরা ৭০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঘাটতি থাকে। সে ক্ষেত্রে অর্ধেক করে দেওয়া হলে ঘাটতি দেখা দেবে না।
জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে এই দফায়ও প্রথম দিনে বেশ কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তি টিকা নেবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সান নিউজ/এসএম