আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার মহামারিতে সরকার ঘোষিত সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা ব্যক্তিদের নিজ খরচে হোটেলে থাকতে হচ্ছে।
এজন্য সরকার নির্ধারিত ১৭টি আবাসিক হোটেলের যেকোনও একটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৭দিন থাকতে হচ্ছে তাদের। বিষয়টি তদারকি করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থেকেছেন যুক্তরাজ্য ফেরত সহস্রাধিক যাত্রী। গত ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে বাধ্যতামুলকভাবে থাকতে হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিপন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় (২৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩৫টি ফ্লাইটে ৫ হাজার ৭২৪ জন যাত্রী বিদেশ থেকে আসেন।
তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য ফেরত ৮৮ জনসহ মোট ৯৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আসা ৫ জনের মধ্যে রিয়াদ থেকে আসা একজন যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বাকি ৪ জন র্যাপিড এ্যান্টিজেন টেস্টের সনদ নিয়ে আসায় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
ডা. রিপন জানান, ৭দিন হোটেলে রাখার পর যুক্তরাজ্য ফেরত এসব যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ফলাফল নেগেটিভ হলে মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষ করার জন্য তাদেরকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
আর পিসিআর ল্যাবরেটরির পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। হাসপাতালের যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে যাত্রীকেই।
সান নিউজ/এসএ