নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনের আলীবাবা ফাউন্ডেশন এবং জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের দেওয়া শীত মৌসুমে করোনার প্রকোপ মোকাবেলায় চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে আরও ৩০০টি ভেন্টিলেটরসহ ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, মাস্ক, প্রোটেক্টিভ ক্লোদিং, মেডিকেল গগলসের মতো ৩ লাখ জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেছে বিকাশ।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোর পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের হাতে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
বিদায়ী বছর জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিকাশের ব্যবস্থাপনায় ৫০টি ভেন্টিলেটরসহ সাড়ে ৬ লাখ জরুরি স্বাস্থ্য সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান এবং বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল এন্ড কর্পোরেট এফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অবঃ)।
মোট ৩৬.৭ টন স্বাস্থ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩০০টি ভেন্টিলেটর, আড়াই লাখের বেশি কেএন-৯৫ মাস্ক, ৩০ হাজার প্রোটেক্টিভ ক্লোদিং, ২০০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং ৮৫ হাজার মেডিকেল গগলস।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে বিকাশ নিজ অর্থায়নে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রমে আরও সক্ষমতা বাড়াতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ ও কেন্দ্রিয় পুলিশ হাসপাতালকে ৩০টি ভেন্টিলেটর প্রদান করেছে।
বারডেমের সহযোগী ডায়াবেটিক হাসপাতালে (বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল) অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ করে দিয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসায় অতি জরুরি ভেন্টিলেটরের চাহিদার প্রেক্ষাপটে আলীবাবা ও বিকাশের দেওয়া এই ভেন্টিলেটরগুলো করোনা চিকিৎসা সেবাকে আরও ত্বরান্বিত এবং কার্যকরি করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১১ সাল থেকে বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং এ্যান্ট গ্রুপের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
সান নিউজ/এসএ