নিজস্ব প্রতিবেদক : পেঁয়াজ রান্না এবং খাবারের একটি অন্যতম অনুসঙ্গ। আর পেঁয়াজের মতোই এর পাতার রয়েছে অনেক প্রকার স্বাস্থ্য উপকারিতা।
পুষ্টি উপাদান: পাতা পেঁয়াজের প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে আর্দ্রতা ৭৮.৯%, আমিষ ১.৮%, চর্বি ০.১%, খনিজ পদার্থ ০.৭%, শর্করা ১৭.২%, ক্যালসিয়াম ০.০৫%, ফসফরাস ০.০৭%, লোহা ২.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ৩০ আই ইউ, ভিটামিন-বি১ ০.২৩ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ১১ মি. গ্রাম ও এনার্জি ৩৪ কিলোক্যালরি আছে।
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ ১. পেঁয়াজ পাতার এন্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাধা প্রদান করে কোষ কলার এবং ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
২. এন্টিভাইরাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠান্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ৩. পেঁয়াজ পাতায় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয়।
৪. লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫. সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে এলাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যানসার বিরোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে। ৬. সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭. পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। ৮. পেঁয়াজ পাতায় এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও এ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।
সান নিউজ/এসএ