আন্তর্জার্তিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রতি চারটির মধ্যে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পানির অভাব রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘ শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ) প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের এক যৌথ প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে। বিশ্বের ১৬৫টি দেশের ওপর গবেষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যকর পানির অভাব রয়েছে এমন কেন্দ্রগুলোতে রোগী ও কর্মী উভয়েই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া ডাক্তার ও নার্সদের কোনও কাজে পাঠানোর অর্থ হচ্ছে পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা ছাড়া কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে এসব মৌলিক উপকরণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এখনও প্রচুর ঘাটতি রয়েছে।
ইউনিসেফের প্রধান হেনরিয়েটা ফোর বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন এমনকি সাবান ছাড়াও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মী ও সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন সবার জীবনই ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৭টি দেশ শোচনীয় স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এসব দেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর অর্ধেকেই খাবার পানি নেই। এক চতুর্থাংশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির অভাব এবং প্রতি ৫ টির মধ্যে ৩ টিতে স্যানিটেশন সুবিধা নেই।
বিশ স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের হিসাব মতে, এসব দেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যকর পানির চাহিদা পূরণে জনপ্রতি ১ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে।
সান নিউজ/এসএ