আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে ভাইরাস বিষয়ে জাতিসংঘের এক বিশেষ সম্মেলন উদ্বোধন করে গুতেরেস দ্রুত বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিপন্ন, ক্ষতিগ্রস্ত এই গ্রহের জন্য ভ্যাকসিন নিরাময়ের কোনও উপায় নয়।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিন গুলো দ্রুত অনুমোদন দেয়া হলেও বিশ্বকে কয়েক দশক ধরে করোনা মহামারিগুলোর সাথে লড়াই করে যেতে হতে পারে।
গুতেরেস বলেন, ‘আসুন আমরা নিজেদের বোকা বানাবো না। একটি ভ্যাকসিন ক্ষয় পূরণ করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে না, যা আগামী কয়েক বছর এমনকি কয়েক দশক ধরে ছড়িয়ে পড়বে।’তিনি বলেন, ‘চরম দারিদ্র বাড়ছে, দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা ৮ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি।’
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বে প্রায় ১৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে, যা বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি অন্যান্য চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ১শ’র বেশি দেশের নেতা অথবা সিনিয়র কর্মকর্তারা এই সম্মেলনে অংশ নেন। এতে সংক্ষিপ্ত ও পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তবে কূটনীতিকরা আশা করেন না যে দুই দিনের এই সম্মেলনে দ্রুত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।
গুতেরেস তার আহবান পুর্নব্যক্ত করে বলেন, ভ্যাকসিনগুলো ‘বিশ্বের সকল মানুষের জন্’ হতে হবে, যাতে বিশ্বের সকলে এর অংশীদার হতে পারে। তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যে জাতিসংঘের করোনা মোকাবিলা তহবিলের ৪৩০ কোটি ডলারের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।
করোনার টেস্ট, চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী বণ্টনে বিশ্বের ১৮০টি দেশ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসিটির (এক্সেস টু কোভিড ১৯ টুলস) অধীনে কোভ্যাক্স প্রোগামে যোগ দিয়েছে। সূত্র : বাসস।
সান নিউজ/এসএ/এস