আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে ১৪ লাখের বেশি মানুষের জিবন কেড়ে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দিন দিন সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রতিশেধক না থাকায় ভাইরাসের কাছে মানুষ অসহায়।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি টিকা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তবে টিকা ছাড়াও শুধু নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। অন্তত; একটি দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করলে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ফিজিকস অব ফ্লুইডস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে বিষয়টি উঠে এসেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সঞ্জয় কুমার বলেন, 'করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সার্জিক্যাল মাস্ক একটি আদর্শ সহায়ক। এটি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তাই গবেষণায় দেখা যায়, ৭০ শতাংশ মানুষও যদি প্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলেই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়া সম্ভব।’
গবেষকদের তথ্য মতে, কোনও ব্যক্তি কথা বললে, গান গাইলে, হাঁচি-কাশি অথবা শ্বাঁস-প্রশ্বাস নিলেও সূক্ষাতিসূক্ষ ড্রপলেট মুখ থেকে নির্গত হয়। যা বেশির ভাগ সময়ই চোখে দেখা যায় না। এর মাধ্যমেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আর সেই ড্রপলেট আটকাতেই সক্ষম সার্জিক্যাল মাস্ক।
৫-১০ মাইক্রোন ড্রপলেটকে বড় এবং তার চেয়ে কম মাইক্রোনের ড্রপলেটকে ছোট হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, ছোট ড্রপলেটই বেশি ভয়ংকর। তাহলে কাপড়, সিল্ক কিংবা এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক পরলেও কি একইভাবে এই ড্রপলেট রোখা সম্ভব?
গবেষকদের উত্তর, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী সার্জিক্যাল মাস্কই। স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মতো যদি বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা এই মাস্ক পরে থাকা যায়, তবেই তার ইতিবাচক ফল মিলবে। এ ছাড়া হাইব্রিড পলিমার দিয়ে তৈরি মাস্কও বেশ কার্যকর বলেই জানাচ্ছে এই গবেষণা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার টিকা, অক্সফোর্ডের টিকা এবং রাশিয়ার টিকা স্পুটনিকের কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী গবেষকেরা। টিকাগুলোর একেকটি কার্যকারিতা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। আগামী বছরের শুরুতে করোনার টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। খবর : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সান নিউজ/এসএ