নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। দিয়েছি। হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের মৃত্যুর পর অধিদপ্তরের দায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মহাপরিচালক।
জরুরি ভিত্তিতে তালিকা চেয়ে সারাদেশে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিদর্শন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবারের (১২ নভেম্বর) মধ্যে বিভাগীয় পরিচালকদের তালিকা নিয়ে চলতি মাসের মধ্যে পরিদর্শন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
গত ৯ অক্টোবর অননুমোদিত ওই হাসপাতালের কর্মীদের মারধরের শিকার হয়ে মারা যান সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন এটা কারোই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত।
তিনি বলেন, সারাদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে , এরমধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩ হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি। মহাপরিচালক বলেন, সব জায়গাতেই অজুহাত আছে। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমার যে পরিমাণ জনবল দরকার সেটা নেই। তারপরও আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি বিভাগ, জোন ওয়াইজ বের করে এ ধরনের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার (অননুমোদিত) করতে হবে।
লাইসেন্সের বাইরে অজস্র হাসপাতাল রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এগুলোর হিসাব পেতে গত পরশু দিন ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে তিন কর্মদিবসের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) তাদের এলাকার মোট লাইসেন্স এবং আন-লাইসেন্সের লিস্ট আমাদের দেবেন।
অননুমোদিত হাসপাতালে এরকম মৃত্যু বন্ধ করতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন- জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। আমরা একটা কমিটি করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রশাসন। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারবো না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদের নিয়ে আমরা এটা করতে পারবো। আশা করছি এ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারবো।
সান নিউজ/এসএ