নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানের পর কুয়েতে সবচেয়ে বেশি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ অবস্থায় ৪ মার্চ মঙ্গলবার কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায় বাংলাদেশসহ দশটি দেশের নাগরিকদের কুয়েতে প্রবেশ করতে হলে করোনাভাইরাস মুক্তির সনদ দেখাতে হবে।
আগামী ৮ মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানায় তারা।এ অবস্থায় নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় বিপাকে পড়েছেন কুয়েত প্রাবাসীরা। অনেকের যাত্রার ভিসা-টিকেট সব প্রস্তুত থাকলেও কুয়েত দূতাবাস এবং আইইডিসিআরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সময়মতো সনদ না পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন তারা।
অবশেষে কুয়েত প্রবাসী যাত্রীদের সে অনিশ্চয়তা দুর হয়েছে, কুয়েত গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্তা করেছে জাতীয় সমন্বয় কমিটি। মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) হবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
৫ মার্চ সন্ধ্যায় জাতীয় সমন্বয় কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্বান্ত অনুযায়ী কুয়েত গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৭ই মার্চ শনিবার সকাল ৯টা থেকে।
সম্প্রতি কুয়েত সরকার কুয়েতে প্রবেশের পূর্বশর্ত হিসেবে বাংলাদেশ সহ দশটি দেশের নাগরিকদের চিকিৎসা সনদ সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। সে শর্ত না মানলে সবাইকে তারা আবার নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করে দিয়েছে।
পরীক্ষার সময় কুয়েত প্রবাসী যাত্রীদের পাসপোর্ট, বিমানযাত্রার টিকেট এবং তার ফটোকপি সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। যে সব যাত্রী আগে যাত্রা করবেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে।
আজ স্বাস্থ্য ভবনে জাতীয় সমন্বয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, আইইডিসিআরএর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদোসী, হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান প্রমুখ।
সান নিউজ/সালি