নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশখ্যাত হেমাটোলজিস্ট এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কর্নেল (অব.) মো. মনিরুজ্জামান গত ৩ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। অথচ তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে রাজধানীর শ্যামলীর হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামে একটি ডায়াগনস্টিক রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট দিয়ে আসছে ।
রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগের সূত্র ধরে শ্যামলী স্কয়ারের বিপরীতে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামের এই প্রতিষ্ঠানটি রিজেন্ট হাসপাতাল কিংবা জেকেজিকেও হার মানিয়েছে । ১০ বছর ধরে ল্যাব পরিচালনা করছে তারা। থাইরয়েডের সকল রিপোর্টসহ হেপাটাইটিস, ব্লাড কালচারসহ চলত নানা পরীক্ষা। অথচ সেই ল্যাবের বেহাল দশা।
প্রতিষ্ঠানটি প্যাথলজির রিপোর্ট দিত মৃত চিকিৎসক অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের প্যাড-নাম- স্বাক্ষর ব্যবহার করে। অক্টোবরেও তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। অথচ এ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মে মাসের ৩ তারিখে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বলেছেন, ল্যাবের মালিক দু-একটি পরীক্ষা করলেও বাকি পরিক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হতো অনুমান করেই। এ ছাড়া মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর করা অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে হাইপোথাইরয়েড সেন্টারে। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কুরিয়ারে স্যাম্পল সংগ্রহ করে মেইলে রিপোর্ট দিত।
এদিকে ভূয়া ল্যাবরেটরি পাওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাইপোথাইরয়েড সেন্টার সিলগালা করে দেন। সেই সঙ্গে দুই কর্মচারী সোহেল রানা ও রাসেলকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মালিক আবদুল বাকের পলাতক রয়েছেন।
সান নিউজ/এসএ