নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, বিস্তার রোধ এবং প্রতিকারের জন্য গৃহীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির অধীন সংযুক্ত দপ্তরের তথ্য (গৃহীত কার্যক্রম, সেবা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, উপকারভোগী, ব্যয়, ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি, কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা এবং উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ) জানাতে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সে নির্দেশনার আলোকে প্রতিবেদন দাখিল করতে সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল গত ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এখনোও প্রতিবেদন পায়নি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ অবস্থায় সোমবার (০২ নভেম্বর ) আরেকটি চিঠির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) এর মধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় থেকে এখনো কোনো প্রতিবেদন পায়নি। এমতাবস্থায় কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ, বিস্তার রোধ এবং প্রতিকারের জন্য গৃহীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির তথ্য (অধীন/সংযুক্ত দপ্তরের তথ্যসহ) আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হলো।
দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। যদিও অন্য বছরের তুলনায় এবার শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক নিয়ে। কারণ শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বা এর দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য খাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সম্মিলিতভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে।
সান নিউজ/এসএ