সান নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে আমিষের অনেকটা চাহিদা মেটাচ্ছে ব্রয়লার মুরগির মাংশ। সময়ের প্রয়োজনে অনেকেরই প্রথম পছন্দও এটি। বিশেষ করে এ মাংশের তৈরি চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোস্ট, চিকেন উইং, চিকেন নাগেটসসহ আরও অনেক কিছুই আমরা প্রতিদিন খাচ্ছি।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, এই ‘ব্রয়লার প্রীতি’ আমাদের দেহের মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে। দীর্ঘদিনের গবেষণার পর এমনটাই দাবি করছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।
ব্রয়লার মুরগি নিয়মিত খেলে অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হবে। শুধু তাই নয়, শংকা রয়েছে আমাদের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে ধীরে ধীরে।
ভারতের স্থানীয় জি-নিউজের এক প্রতিবেদনে অরিন্দম বিশ্বাস জানান আসলে ইদানীং আমরা যত মুরগি খাই তার প্রায় সবই আসে কোন না কোন পোল্ট্রি খামার থেকে। আর প্রায় সব পোল্ট্রি খামারেই মুরগির স্বাস্থ্য দ্রুত বাড়াতে, বেশি মাংস পেতে মুরগির খাবারের সঙ্গে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যক্ষমতা দিনে দিনে হ্রাস পেতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এইভাবে চলতে থাকলে একটা সময় হয়তো অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই শরীরে কোনও রকম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে তা ঠেকাতে ব্যর্থ হবে।
সম্প্রতি লন্ডনের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজিম-এর চালানো একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়ার মতো একাধিক দেশে পোল্ট্রি খামারে মুরগির খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিন নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাজারে উৎপাদিত প্রায় সব প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংসেই উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিনের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’এর যে বিধি-নিষেধ রয়েছে, তা যে কোনও ভাবেই মানা হচ্ছে না তারই প্রমাণ মিলেছে এই সমীক্ষায়।
কীভাবে বিপদ এড়িয়ে চলা যাবে বা এ থেকে পরিত্রানেরই বা উপায় কি? এ বিষয়ে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানান, পোল্ট্রি বা ব্রয়লার মুরগির মাংশ যতটা সম্ভব কম খাওয়া যায় ততই ভালো। আর যদি খেতেই হয় ভাল করে ফুটিয়ে, সেদ্ধ করে খাওয়াই উচিৎ।
সান নিউজ/সালি