নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। সংক্রমণ বাড়ায় ব্রিটেনে চার সপ্তাহের লকডাউন শুরু হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও বাংলাদেশে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করে আগামী দিনগুলোর জন্য বেশি ভীতিকর বার্তা দিয়ে বলেছেন, সব রেস্তোরাঁ, ব্যায়ামাগার, পানশালা এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনে জরুরি নয় এমন দোকানপাট চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে গতবারের লকডাউনের সঙ্গে খানিকটা পার্থক্য থাকবে এবার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। ডিসেম্বরের ২ তারিখের পর লকডাউন শিথিল করা হবে।
বাংলাদেশেও বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও কার্যকর হচ্ছে না শারিরিক, সামাজিক দুরত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ মাস্ক পরার বিধিবিধান কার্যকর করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে তা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে কার কী কাজ তা ঠিক করে দিয়ে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও তার বেশির ভাগই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করার বিষয়টি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছিল দেশের সব মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে অন্তত দিনে দুইবার করে মাস্ক পরার রাষ্ট্রীয় আদেশের বিষয়টি বলতে।
কিন্তু তারাও সেটি বাস্তবায়ন করেনি। এদিকে মাস্ক পরতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলেও সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করা এবং সেবা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি কার্যকর হয়নি।
সান নিউজ/এসএ