আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে জানানো হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক উভয় বয়সী মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এ ছাড়া দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়াও কম। সোমবার হয়েছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মহামারি করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর একটি ভ্যাকসিনকেই এখন গেম চেঞ্জার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা এই ভাইরাস ইতোমধ্যে কোটি কোটি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়ে ১১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, অচল করে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি আর বিশ্বব্যাপী ব্যাহত করেছে জনমানুষের জীবনযাপন।
ব্রিটিশ দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস এ নিয়ে প্রকাশিত এক জানিয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে এমন অ্যান্টিবডি ও টি-সেল তৈরি করেছে। গবেষণা সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে দৈনিকটি।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, এ বার প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ইমিউনোজেনিসিটি রক্ত পরীক্ষার পর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুলাইয়েও দেখা গিয়েছিল, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক একদল স্বেচ্ছাসেবীর দেহে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন।
যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোম্পানিটির এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, প্রাপ্তবয়স্ক ও কম বয়সীদের মধ্যে একই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি এবং করোনায় যাদের অবস্থা গুরতর হওয়ার শঙ্কা বেশি, সেই প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে বিরুপ প্রতিক্রিয়া কম হওয়ার বিষয়টি আশাব্যঞ্জক।
শিগগিরই ভ্যাকসিনটির গবেষণা সংক্রান্ত এই ফলাফল কোনো একটি ক্লিনিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হবে বলে জানালেও তা কোন জার্নালে প্রকাশিত হবে এ নিয়ে কিছু জানায়নি ফিনান্সিয়াল টাইমস। তবে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটি রয়েছে শীর্ষে।
সান নিউজ/এসএ