সান নিউজ ডেস্ক : আজ বিশ্ব পোলিও দিবস। পোলিও একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াকে পোলিওমায়েলাইটিস বা সংক্ষেপে পোলিও বলা হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
বৈশ্বিকভাবেই পোলিও রোগ কমে গেছে। ১৯৫৪ সালে পোলিও ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রচলনের আগে পোলিও রোগটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ছিল। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগে অনেক দেশে প্রকোপ কমে যায়। বর্তমানে শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভাইরাসটির প্রভাব খুব অল্প পরিমাণে আছে। তবে দেশগুলোত ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে নির্মূলের চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি আগামী দু-এক বছরের মধ্যে বিশ্বকে পোলিওমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে ২০০৬ সালের নভেম্বরে শেষ পোলিও সংক্রমিত নতুন রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ২০১১ সালের জানুয়ারিতেও নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত ঘোষিত হয়নি। বর্তমানে ইপিআই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে মারাত্মক রোগ পোলিও নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি এ ভাইরাস আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্তের লক্ষণগুলো হলো জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব। ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ানো ছাড়াও মুখগহ্বর দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। মলের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই ভাইরাসের সংস্পর্শে স্নায়ুরজ্জু ও স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাংসপেশী নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুকোষকে আক্রান্ত করে বলে শরীর অবস হয়ে যায়। নিম্নাঙ্গকে বেশি আক্রান্ত করে। তবে আক্রান্তের হার বেশি হলে নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে আঘাত হেনে মৃতু্যর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।