আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে অক্সফোর্ড জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ব্রাজিলে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত ছিল। তবে মৃত্যুর কারণে ভ্যাকসিন ট্রায়াল বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড । ভ্যাকসিনের কারণে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো সন্দেহ রয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে বলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
ভারতে এই মুহূর্তে চারটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। সেই ট্রায়ালও এখন তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে হায়দরাবাদের একটি সংস্থা।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) তারা জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তারা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে। ভারতের মোট ১০টি রাজ্যের ১৯টি অঞ্চলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে বলে তারা জানিয়েছে। মোট ২৮ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যাঁদের বয়স ১৮ বছরের উপরে।
এদিকে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে অ্যামেরিকায় ওই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। যারজন্য বেশ কিছুদিন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর ) ব্রাজিলে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর উপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ হলেও মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। অক্সফোর্ডও জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত ট্রায়াল বন্ধ হবে না। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলবে।
ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিন নিয়ে এর আগে বহু বিতর্ক হয়েছে দেশে। নরেন্দ্র মোদী চেয়েছিলেন ১৪ আগস্ট কোভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা করে দিতে। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স তাতে রাজি হয়নি। বলা হয়েছিল, পরীক্ষা না করে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া উচিত হবে না। শুক্রবার নতুন করে জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরের শুরুতে ওই ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে। এই দুইটি ভ্যাকসিনের বাইরেও ভারতের একটি ফার্ম করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে। তাদের ট্রায়াল আপাতত দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও হচ্ছে ভারতে। তবে কোনো ভ্যাকসিনই আগামী বছরের আগে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সান নিউজ/এসএ/এস