আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রেমডিসিভির ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশ্ন তুললেও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ভাইরাস নিরোধক ওষুধটি ব্যবহারে পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এফডিএ জানিয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে– ভেকলুরি (রেমডিসিভির ওষুধের ব্র্যান্ড নাম) গ্রহণের মাধ্যমে করোনা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে।
এক বিবৃতিতে এফডিএ আরও বলেছে- রেমডিসিভির কোভিড-১৯ এর প্রথম কোনো চিকিৎসা, যা এফডিএর অনুমোদন পেল।’ খবর আলজাজিরার।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমডিসিভির নিয়ে নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরে বিপরীত মত দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।
তবে রেমডিসিভির নিয়ে ডব্লিউএইচওর ট্রায়ালের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ওষুধটির উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জিলিড।
গত মে মাসে করোনার জটিল রোগীর চিকিৎসায় রেমডিসিভির প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার পূর্ণ অনুমতি দিল দেশটি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এ ওষুধ দেয়া হয়। তার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ওষুধটি কাজে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এফডিএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির ব্যবহারের পূর্ণ অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী, ওষুধটি পূর্ণ বয়স্ক ও ১২ বছর বয়সী শিশু বা এর বেশি বয়সী যাদের অন্তত ৪০ কেজি ওজন আছে এসব কোভিড-১৯ রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
ব্যাপারটিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় মাইলস্টোন হিসেবে উল্লেখ করেছেন এফডিএর কমিশনার স্টিফেন হ্যান। একটি ট্রায়ালে দেখা গেছে, রেমডিসিভির গ্রহণের পর করোনায় আক্রান্ত রোগী ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে।
সান নিউজ/এম/এস