নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ নানামুখী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সমস্যা হচ্ছে অর্থের। ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হলে দরকার এক দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অবস্থায় বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলিকে পাশে আনার চেষ্টা করছে।
ইতিমধ্যেই জাপানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তরফ থেকে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন কিনতে যে টাকার প্রয়োজন তা জোগান দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন। তাই আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। একইভাবে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার চাইবে এমনটাই বলা হচ্ছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এডিবির কাছ থেকে এর অতিরিক্ত ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কাতার ও ভুটান করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মোদি এ তথ্য প্রকাশ করেন। বৈঠকে বলা হয়, ভারতের দুইটি টিকার দ্বিতীয় ও একটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
বাংলাদেশ কোন টিকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে চীনের একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় তা হাত ছাড়া হয়ে গেছে।
সিনোভ্যাক বলছে, টাকা ছাড়া ট্রায়াল সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা অন্যদেশে চলে গেছে।বাংলাদেশ বলেছে, টাকার বিনিময়ে তারা ট্রায়ালে আগ্রহী নয়। ভ্যাকসিন তৈরির তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের নাম যুক্ত হয়েছে। গ্লোব তিনটি ভ্যাকসিন বের করার চেষ্টা করছে। গত ১৫ই অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তিনটি ভ্যাকসিনকে ক্যান্ডিডেট তালিকায় যুক্ত করেছে। এই তালিকায় বিশ্বের ১৬৫ টি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের নাম রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে/এস