নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই অফিস সহকারী আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবজালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আবজাল কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুটি মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট তাকে দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে আদালত আগামী ২ সেপ্টেম্বর তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া একই দিন আবজাল হোসেন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদক উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার অর্থপাচার অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।
আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদের বিবরণীতে দুই কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনাকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। তারা দুদকের কাছে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এম/এস