আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সোমবার (১৯ অক্টোবর)পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৬ জন।
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৫ জন। বিশ্বে করোনা রোগ থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৭ জন। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন। মারা গেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৯ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় আক্রান্তও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫১ জন। দেশটিতে মারা গেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১ জন। সে তালিকায় ব্রাজিল রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায়েআক্রান্ত ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩৬২ জন। দেশটিতে মারা গেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। আর্জেন্টিনা পঞ্চম। কলম্বিয়া ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম । ফ্রান্স অষ্টম । পেরু নবম। মেক্সিকো দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমমৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে একের পর এক সংক্রমিত হওয়ার আসে।
করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে মহামারীর আকার ধারন করার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি সারাবিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যুর ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে কোভিড-১৯।
১১ মার্চ কভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার(১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশে নিশ্চিত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় ৫ হাজার ৬৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম। স্বাস্থ্যখাতে আরও কিছু জরুরী জনহিতকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে আরও কমানো সম্ভব হবে। গত ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। রোগী শনাক্তের ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
সান নিউজ/এসকে