নিজস্ব প্রতিবেদক:
রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার কারণে প্রায় ৭ হাজার পোলিও ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গেছে ফরিদপুরে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্ততে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ও তদারকিতে জড়িত ৩ স্বাস্থ্যকর্মীকে শো-কজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই কার্যালয়ের একটি ডিপ ফ্রিজে ছয় হাজার ৮৫০টি পোলিও ভ্যাকসিন ক্যাপ্সুল ছিল। ওই ক্যাম্পুল দিয়ে মোট ২০ হাজার ৫৫০ শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হতো।
এ রক্ষণাবেক্ষণ তথা স্টোর কিপারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আজিজুর রহমান সোহেল নামে এক ব্যক্তি। তিনি স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। স্টোর কিপার হিসেবে তার কোনও প্রশিক্ষণ নেই।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার জানার পর ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কানসালটেন্ট (নাক কান গলা) ঊষা রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট (শিশু) এ এইচ এ সায়াদ ও সারভাইরেন্স মেডিকেল কর্মকর্তা মোরশেদ জামান।
কমিটি গত মঙ্গলবার তদন্ত কাজ শেষ করে দুপুরের মধ্যে সিভিল সার্জনের কাছে প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারী আজিজুর রহমান এবং তত্ত্বাবধানের কাজে নিয়োজিত আইপিআই সুপার ইখতেখার আলম খান ও কোল্ড চেন টেকনিশিয়ান সমীর কুমার মজুমদারের দায়িত্বে ও কর্তব্যকাজে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আজিজুর রহমান ও দুই পরিদর্শক ইখতেখার আলম খান ও সমীর কুমার মজুমদারকে ‘কর্তব্যকাজে অবহেলায় কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সাননিউজ/আরএইচ