প্রশান্ত কথা
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ সুস্থ থাকতে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শরীরের প্রয়োজন মিটিয়ে বাকিটা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। নিজেদের প্রয়োজনে প্রতিদিনই ভিটামিন সি গ্রহণ করা জরুরি। কিন্তু পরিমাণ মত ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন প্রত্যেকের উচিৎ।আমরা অনেকেই জানিনা কতটা ভিটামিন সি প্রয়োজন চলুন দেখে -
প্রতিদিনের যতটুকু প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি খেলে তা ইউরিনের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। কারণ এই ভিটামিন শরীরে সঞ্চিত থাকে না। কিছু মানুষের আবার পেটের গোলমালও হয়। কাজেই যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই খাওয়াই সঠিক ’।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার। ধূমপায়ী হলে বা বাচ্চাকে মায়ের দুধ খেলে অতিরিক্ত আরও ৩০-৩৫ মিলিগ্রাম প্রয়োজন।
ভিটামিন সি’ দ্বারা মূলত এর একাধিক ভিটামারকে বোঝানো হয় যেগুলো প্রাণী ও উদ্ভিদের দেহে ভিটামিন সি এর মত কাজ করে। এসব ভিটামারের মধ্যে অ্যাস্করবিক এসিডসহ এর বিভিন্ন লবণ ও ডিহাইড্রোঅ্যাস্করবিক এসিডের (dehydroascorbic acid) মত কিছু জারিত (oxidized) যৌগ বিদ্যমান। অ্যাস্করবেট বা অ্যাস্করবিক এসিড, এ দুয়ের যেকোন একটি দেহে প্রবেশ করলে প্রাকৃতিকভাবে দুটি পদার্থই প্রস্তুত হয়। এর কারণ, এরা pH এর মানের তারতম্যের সাথে একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তরিত হতে পারে। এটি কমপক্ষে আট রকমের এনজাইম সংশ্লেষণ বিক্রিয়ায় কো-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি বিভিন্ন কোলাজেন সংশ্লেষণ বিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেগুলোর অভাবে স্কার্ভি রোগের উপসর্গসমূহ দেখা দেয়
খুব সহজে যে সকল খাবার থেকে ভিটামিন সি পেতে পারেন -মাঝারি একটা কমলালেবু খেলেই প্রয়োজনের ৭৭ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। এক কাপ রান্না করা ব্রকোলি খেলে পাওয়া যায় ১১০ শতাংশ। শাক-সবজি-ফলেও ভিটামিন সি আছে। ভাতের সঙ্গে একটা কাঁচা মরিচ খেলে পাবেন ১২১ শতাংশ ভিটামিন সি। একটা পেয়ারায় ভিটামিন সি আছে ১৪০ শতাংশ।
আমলকি একটি পরিচিত ফল। এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে।
এছাড়া এখন মৌসুমী ফল আমড়া সহজলভ্য। দামও হাতের নাগালে। প্রতিদিনই একটি বা দুইটি আমড়া খেতে পারেন।